প্রিন্সিপালের বাণী

উত্তরবঙ্গের মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হিসাবে বিদ্যা অর্জনকে আমি জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভের চাবিকাঠি হিসাবে অবলম্বন করেছি। ১৯৫৮ সনে সমগ্র পাকিস্তান শিক্ষা বোর্ড থেকে মেধা তালিকার ৭ম স্থান অধিকার করি।সমাজের অবক্ষয় ও ছাত্র সমাজের বিপথগামীতা আমাকে বিচলিত করেছে। তাই সুন্দর সমাজের ব্রত নিয়ে আশে পাশের সন্তানদের সু-শিক্ষা দিয়ে সৎ চরিত্রবান মানুষ গড়ে তোলার জন্য আমি সুশিক্ষার কোন বিকল্প দেখি না। প্রথম জীবনে পি.আই.এ তে চাকুরীর সুবাধে আমি বৃটেন, আমিরিকা, চীন ও জাপান প্রভৃতি দেশে ভ্রমন করে শিক্ষা ব্যবস্থা পর্যলোচনা করার সুযোগ পাই। পরবর্তীতে সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করি। অবশেষে ১৯৭৯ সনে প্রাচ্য-পাশ্চাত্য শিক্ষার আলোকে বাংলা ও ইংরেজী মাধ্যমে সু-সমন্বয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরে ডিজনীল্যান্ড প্রিপারেটরী এন্ড হাইস্কুল নামে কিন্ডারগার্টেন স্কুল প্রতিষ্ঠা করি।

১৯৮৪ সনে আমাকে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশেনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়্যারম্যান করা হয়, এদেশের শিক্ষা বিস্তারে সরকারি বিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিদ্যালয়ের অবদানে ভূমিকা রাখি। পরিশেষে আামার ত্রিশ বৎসর সম্পৃক্ততা ও অভিজ্ঞতার আলোকে ১৯৯৩ সনে ঢাকা দক্ষিণখান থানার আজমপুর ট্যালেন্টস হাই স্কুল এ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করি। যা একটি বৃত্তিমূলক ও কম্পিউটার সমৃদ্ধ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের দুই তলা একাডেমিক ভবনসহ সুবিশাল মাঠ রয়েছে যা বিনোদন ও বিদ্যার্থীর মানসিক বিকাশে সম্পূরক।